Saturday 16 May 2020

২৫শ’ টাকার তালিকায় চেয়ারম্যানের পিএসের নাম্বার ৫৩ বার!

করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসাবে ২৫’শ টাকা প্রধানের তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যানের কথিত পিএসের ফোন নাম্বার ৫৩ জনের নামের পাশে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নে। এই ইউবিয়নের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল ও তার পিএস ছবির উদ্দিনই এই কারসাজি করেছে বলে জানা গেছে।
একইসাথে এই তালিকায় মৃত ব্যক্তির নামও এসেছে। যার জন্য তালিকা সংশোধনে মাঠে নেমেছে আদিতমারী উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নর ৬ জন মেম্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, যেহেতু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ প্রদান করা হবে, তাই এই সুযোগে কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলালের নির্দেশে তার পিএস হিসেবে পরিচিত ছমির উদ্দিন তার নিজের মোবাইল নম্বরটি (০১৭৩৩১২৫১০২) জুড়ে দিয়েছেন ৫৩ জন সুবিধাভোগীর নামের পাশে।

জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৫১৬টি পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদে জমা দেয়ার কথা। কিন্তু কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ইউপি সদস্যরা তালিকা তৈরি করে জমা দিলেও চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল পরিবর্তন করে নতুন করে তালিকা জমা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যানের কথিত পিএস ছবিরের সাথে সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা কথা বলতে চাইলে হুমকি ধামকি দিয়ে ফোন কেটে দেয় সে।
আদিতমারীর ইউএনও মনসুর উদ্দিন জানান, ইউপি সদস্যদের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
CP

Saturday 28 December 2019

ব্যাতিক্রমধর্মী বাসর রাতের গল্প।।

বাসর ঘরে ঢুকেই নববধূকে বললাম ‘ ফ্রেশ হয়ে আস। মুখের আটা-ময়দা দেখে বলতে পারবনা তুমি চাঁদের মত সুন্দর ‘ নববধূ আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। তারপর বলল ‘ বিয়ের আগে আমাকে দেখেননি? ‘ আমি মুখ বাঁকা করে বললাম ‘ হ্যাঁ একবার তো দেখেছিলাম কিন্তু সেদিন আরো বেশি আটা-ময়দা ছিল ‘ নববধূ আমার দিকে যেভাবে তাকাল মনে হচ্ছে আমাকে চিবিয়ে খাবে। তারপর খাট থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাবার জন্য পা বাড়াল। আমি বললাম ‘ তোমার নামটা যেন কি? ‘ নববধূ ভেংচি দিয়ে বলল ‘ বাহ মাত্র একদিনে নামটাই ভুলে গেলেন? কালকে তো মনে হয় বলবেন ” এই মেয়ে তুমি এ বাড়িতে কি কর ” ‘ আমি জোর স্বরে বললাম ‘ নামটা জিজ্ঞেস করেছি আর এত কথা শুনিয়ে দিলে। এত বেশি কথা মেয়েদের মুখে মানায় না। নববধূ ‘ ইরা ‘ বলেই ফ্রেশ হতে চলে গেল।
আমি বসেবসে হাসছি। আয়নার সামনে গিয়ে হাসছি। এরকম যন্ত্রণা মনে হয় বাসর রাতে কোন মেয়ে পায়নি। ফ্রেশ হয়ে প্যারা ঘরে আবার আসল। এবার চোখেমুখে লজ্জা দেখতে পাচ্ছি। আটা-ময়দা ছাড়া তো ভালই দেখাচ্ছে। গাল ফুলিয়ে বসে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরবে মনে হয়। আমি বললাম ‘ মিসেস প্যারা আপনাকে আটা-ময়দা ছাড়া ভালই দেখাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের নন্দিনীর মত ‘ নববধূ কাঁদ কাঁদ স্বরে বললে ‘ প্যারা কে? ‘ আমি মুচকি হেসে বললাম ‘ একটু আগে না তুমি বললে তোমার নাম প্যারা ‘ নববধূ এবার কেঁদেই দিবে। বলল ‘ ইরা বলেছি ইরা। প্যারা না। আর আপনি কানে কম শুনেন নাকি? ‘ আমি বললাম ‘ প্যারা ম্যাম আপনার পেঁচার কণ্ঠে একটা গান শুনান তো ‘ নববধূ শুধু পারছেনা আমাকে গলা টিপে ধরতে। বলল ‘ পেঁচার কণ্ঠে গান শুনতে হবে কেন? আর আমি গান-টান পারিনা ‘ আমি খাটে বসলাম।
বসে বললাম ‘ তো পারটা কি? ‘ নববধূ দাঁত ক্যালিয়ে বলল ‘ আমি কলেজে বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। বেশ মারতে পারি মানুষকে দেখবেন? ‘ পাশের টেবিলের ভিতরে মশারি ছিল। আমি মশারি নিয়ে ইরার হাতে দিয়ে বললাম ‘ মশারি টানাও ঘুমাব। ‘ ইরা আমার দিকে তাকিয়ে বলল ‘ সারা বাড়িতে তন্নতন্ন করে খুঁজলেও মনে হয়না একটা মশা পাওয়া যাবে। আর আপনি মশারি টানাতে বলছেন। আপনার মাথায় যে সমস্যা আছে তা আগে জানতাম না। এতই যদি শখ থাকে তাহলে নিজে টানিয়ে ঘুমান। ‘ আমি বললাম ‘ মশারি টানালেই হবেনা। আমার শরীর কেমন জানি করছে। হাত-পা টিপে দিতে হবে। তারপর কোলে নিয়ে ঘুমাতে হবে ‘ নববধূ স্বর করে বলল ‘ আন্ডায় নিয়ে ঘুমাতে হবে হুহ। মগেরমুলুক নাকি যে যা বলবেন তাই করব? ‘ আমি মশারিটা টেবিলে রাখলাম।
.
রেখে বললাম ‘ আরে বোকা মেয়ে বলে কি? শোন স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীদের জান্নাত। স্বামীর সেবা ব্যাতীত জান্নাতে যাওয়া অসম্ভব। তুমি কি জান্নাতে যেতে চাওনা? আস আস তাড়াতাড়ি মশারি টানিয়ে আমার হাত-পা টিপে দাও। ‘ নববধূ আঙুল তুলে বলল ‘ ওরে বাবা ভাল হাদিস শুনাতে পারেন তো আপনি। তো বাসর রাতে স্ত্রীদের অত্যাচার করা কোন হাদিসে আছে শুনি? ‘ আমি বললাম ‘ মাফও চাই দোয়াও চাই। আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। মশারি আমিই টানিয়ে দিচ্ছি আপনি ঘুমান। ‘ বলে মশারি টানিয়ে দিলাম। একটা বালিশ নিয়ে ফ্লোরে রাখলাম। আমার ফোন, আমার হ্যাডফোন। আর কানে রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীত আর কি লাগে? রাত বাজে বারোটা। আমি হাত-পা ছেড়ে শুয়ে আছি। কানে গান বাজছে। নববধূ শুয়ে পরল। কি মেয়েরে বাবা। আমার প্রতি একটু মায়াও হলনা।
একটু পর নববধূ উঠে বসল। রুমের লাইট জ্বালিয়ে বলল ‘ উপরে আসেন ‘ আমি বললাম ‘ আমার খাটে শোতে এলার্জি আছে আমি খাটে শোতে পারিনা ‘ নববধূ ঝাড়ি দিয়ে বলল ‘ ঢঙ করবেন না। উপরে আসতে বলেছি উপরে আসেন। ‘ আমি বললাম ‘ না গেলে উপরে কি করবেন? ‘ নববধূ রেগে বলল ‘ তাহলে আর কি আপনার বাড়িতে আপনি খাটে ঘুমাবেন আমি ফ্লোরে। ‘ আমি বললাম ‘ এখন আর আমার বাড়ি নেই। আমাদের বাড়ি। ‘ নববধূ বলল ‘ এত বুঝেন আবার ঢঙ করে নিচে শুয়ে আছেন কেন? ‘ যা বাবা কথাতেও পটু। আদরের ফোনটা রেখে মশারির ভিতরে গিয়ে শুয়ে পরলাম। আমার কিরকম জানি ভয় হচ্ছে। বিয়ের প্রথম রাতেই এতটা করা ঠিক হয়নি বুঝতে পারলাম। এরকম বাসর রাত কয়জনের কপালেই বা থাকে।
ওমা একটু পর নববধূ আমার পায়ের কাছে! আমার পা টিপছে! আমি পা টেনে বললাম ‘ এই মেয়ে কর কি? ‘ নববধূ বলল ‘ কেন আপনার সেবা করছি। ‘ আমি বললাম ‘ অনেক সেবা করছ আর করতে হবেনা। রাত তো আর কম হলনা এবার ঘুমাও শান্তিমতে। সারাদিন তো মানুষের চিল্লাচিল্লিতেই ছিলে ‘ নববধূ বলল ‘ তাহলে কি এবার ঘুমাতে পারি স্যার? ‘ আমি বললাম ‘ হুম আর হাত-পা টিপে দিতে পারনি বলে কি হয়েছে কোলে নিয়ে তো ঘুমাতে পার। ‘ নববধূ শুয়ে বলল ‘ আপনার মুখে কিছুই বাজেনা না? এরকম পাগল আপনি। তার উপর আপনি যা মটু আল্লাহ। ‘ আমি বললাম ‘ সেটাও তো ঠিক ‘ মাঝারাতে ঘুমালে সেই রকমের ঘুম হয়। কিন্তু সকালে উঠে দেখি আমার বুকে ইরা! কোলে করেই ঘুমিয়েছে! আমি বললাম ‘ কি ব্যাপার এত মটু ছেলেকে কোলে নিলে যে? ‘ ইরা বলল ‘ সমস্যা কি? আমারই তো বর ‘ ||